বৈদ্যুতিক গাড়ি বানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে এখন হুয়াওয়ে

এবার নিজস্ব ব্র্যান্ডের আওতায় বৈদ্যুতিক গাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠিত জায়ান্ট হুয়াওয়ে। এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি এর মধ্যে কিছু মডেল উন্মোচন করতে পারে চলতি বছরের শেষ দিকে।

এছাড়াও হুয়াওয়ের ভোক্তা ব্যবসায় বিভাগের প্রধান রিচার্ড ইউ জানিয়েছেন যে, বৈদ্যুতিক গাড়িতে প্রতি নজর দিতে চাইছে এই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে বড় পরিসরের বাণিজ্যিক খাতকে লক্ষ্য বানাবে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।

বৈদ্যুতিক গাড়ি বানানোর লক্ষ্যে কাজ করছে এখন হুয়াওয়ে

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন বলছে, বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক গাড়ি বানানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চ্যাংগান অটোমোবাইল এবং অন্যান্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কারখানা ব্যবহার করতে আলোচনা করছে হুয়াওয়ে।

এছাড়াও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন করতে বেইজিং-ভিত্তিক বিএআইসি গ্রুপের ব্লুপার্ক নিউ এনার্জি টেকনোলজির সঙ্গেও ইতিমধ্যে আলোচনা করছে হুয়াওয়ে।

এছাড়াও এখন নিজস্ব গাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করছে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান শাওমির। আর এটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছে এই প্রতিষ্ঠানটি। যদিও এখন পর্যন্ত বিস্তারিত ভাবে তেমন কিছু প্রকাশ করেনি শাওমি। এছাড়াও শাওমি প্রধান লেই জুনই নতুন এই প্রকল্পে সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন বলে তিনি একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে।


এছাড়াও আমরা জানি যে, টেসলা প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ২০১৩ সালে দুইবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেছেন লেই জুন। এছাড়াও এখন ধারণা করা হচ্ছে যে, এই খাতে প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ আগে থেকেও অনেকটাই বেড়েছে।

প্রযুক্তির নিত্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিচ্ছে নতুন নতুন উদ্ভাবনী গুলো।হুআওয়েই এর মত একটি নামিদামি কোম্পানির এখন গাড়ি তৈরির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাও আবার উন্নত প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক গাড়ি।

যেটা চলবে স্বল্প খরচে কোনরকম পেট্রোল ছাড়াই বৈদ্যুতিক চার্জ এর মাধ্যমে। আর এমন আরও অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ইদানিং পদ্ধতি গাড়ি বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। এ ধরনের গাড়ি মার্কেটে আসলে আমাদের যাতায়াত খরচ ও অনেকটাই।


এছাড়াও গাড়ি ব্যবহার করা আমাদের আওতার মধ্যে চলে আসবে। আমরা অনেকই পেট্রোলের প্রচুর খরচ হয় গাড়ি চালাতে।গাড়ি কেনার সামর্থ্য থাকলেও তাতে পেট্রোল ভরে নিয়মিত ট্রাভেলিং বা যাতায়াত করাটা আমাদের পক্ষে অনেকটাই কষ্টকর হয়ে পড়ে।

সে ক্ষেত্রে আমাদের যদি ইলেকট্রিক বা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে আমরা খুব কম খরচে যাতায়াত সেবাটি পাবে। আর গাড়ি পোড়ায় করে চালানো টাও বেশি ব্যয়বহুল হবে না। ফলে আমাদের গন্তব্যে কিংবা অফিসে খুব সহজেই সময় মতন পৌছে যেতে পারবো।

এছাড়াও বৈদ্যুতিক চালিত গাড়ি অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব হয়ে থাকে।যার ফলে আমাদের পরিবেশ অনেকটাই ভালো থাকবে। এছাড়াও নানা রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে আমরা সহজে বাঁচতে পারব।

আরো পড়ুন… এখন থেকে বাংলায় কথা বলবে রোবট

রাস্তায় নামলে গাড়ির কালো ধোঁয়া আমাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এছাড়াও পরিবেশকে দূষিত করে অনেকটাই বেশি যার ফলে নানা রকমের অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করার জন্য পরিবেশবান্ধব যানবাহনের কোন বিকল্প নেই।

এটা আমাদেরকে শারীরিকভাবে যেমন শান্তি দেবে তেমনি আবার আর্থিকভাবেও স্বস্তি দেবে। আর আমরা চাইলে গাড়ি ক্রয় করে স্বল্প খরচে চলাচল করতে পারব।আধুনিক প্রযুক্তির উন্নত মানের জীবনযাপনের জন্য ইলেকট্রিক বা বৈদ্যুতিক চালিত গাড়ির গুরুত্ব অপরিসীম।

হুয়াওয়ে মতপ্রতিষ্ঠান বুদ্ধিতে গাড়ি তৈরি করলে তা খুব সহজেই ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে এমনটাই আশা করছেন সকলে।নতুন নতুন আবিষ্কার আর তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে করুক আরও অগ্রসর জীবনযাত্রাকে করুক আরো উন্নত এবং সহজ এমনটাই আশা করি আমরা সকলে।

Previous Post Next Post