বর্তমানে জনপ্রিয় একটি অ্যাপস হচ্ছে লাইকি যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমবেশি সকল মানুষই ভালোভাবে চেনে। লাইকি অ্যাপ এর কাজ কি এবং কিভাবে ব্যবহার করা হয় সেটাও আশা করি আপনারা সকলেই জানেন।
তবে এর মধ্যে লাইকি অ্যাপস ব্যবহারকারী দুই রকমের আছে প্রথমত এক ধরনের ব্যবহারকারীরা লাইক অ্যাপ এ 15 সেকেন্ড থেকে শুরু করে 60 সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করে পাবলিশ করে। দ্বিতীয়তঃ অন্য দিকের ব্যবহারকারীরা এই ভিডিওগুলো দেখে এবং লাইক কমেন্ট করে সোজা ভাবে বললে বিনোদনের উদ্দেশ্যে ভিডিও দেখে সময় পার করে।
এক্ষেত্রে যারা ভিডিও তৈরি করে তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে নিজেদের পরিচিতি বা পাবলিসিটি না করা এবং লাইকি অ্যাপ এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। তবে লাইকি অ্যাপ এর কোন দোষ আমি বলছি না বলছি এটার সঠিক ব্যবহারের কথা।
বিশেষ করে যারা ভিডিও তৈরি করে তারা নিজেদের পাবলিসিটি অর্জনের জন্য এমন এমন কিছু ভিডিও তৈরি করে যা মানসিক ভাবে সুস্থ মানুষেরা এরকম করতে পারে না। আসলে লাইকি অ্যাপ এর ভিডিও তৈরি করে পরিচিতি অর্জন করা এবং অর্থ উপার্জন করা এ দুটির ভিতরে কোনোটাতেই সমস্যা নেই।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে লাইকি অ্যাপ এর অদ্ভুত অদ্ভুত ভিডিও তৈরি করতে গিয়ে তাদের মানসিক ভারসাম্য ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এবং লাইকি ভিডিও তৈরি করার কারণে সহজ ভাবে বললে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে।
আর এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার এ বিষয়ে কিছুদিন আগে তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী সহ দেশের বড় বড় মনো বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে লাইকি ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে বেশিরভাগ তরুণ-তরুণীরা মানসিক ভাবে নানা সমস্যায় ভুগছে।
যদি কোন লাইফে ব্যবহারকারী আমার পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে আবার রেগে যাবেন না আসলে এটা সবার ক্ষেত্রে নয়। অনেক সুস্থ মানুষ রয়েছে এবং তারা অনেক ভালমানের ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করে লাইক অ্যাপ এর মাধ্যমে।
আরো পড়ুন… এখন থেকে ইন্সটাগ্রাম এর ডিলিট হওয়া ছবি ফেরত পাওয়া যাবে
কিন্তু অনেকেই তাদের প্রতিভা এমন ভাবে প্রকাশ করতে চাই যে তারা অদ্ভুত অদ্ভুত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে যা প্রচুর ভাইরাল হয় ঠিকই তবে এটা মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
অন্যদিকে যারা লাইকি ভিডিও তৈরি করে না শুধু লাইকই অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও দেখে তাদের ক্ষেত্রে ভিডিও দেখার সময় সচেতন থাকা দরকার। কারণ এমন ভিডিও দেখা যাবে না এটা মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্বাভাবিক চিন্তাভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিশেষ করে তরুণ তরুণী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ বেড়ে ওঠার এই বয়সে অস্বাভাবিক কর্মকান্ড মস্তিষ্কের ভিতর ঢুকে গেলে ভবিষ্যতে এটি মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত যাতে তাদের শিশুরা ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং বর্তমানে তাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।
লাইকি অ্যাপ নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি যেটা ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে কিনা তবে চাইলে চুরি করতে পারে তখন আপনি হয়তো তাদের ফটো মিডিয়া এই ধরনের কোন একটা পারমিশন দিয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে লাইকি অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা।