বাংলাদেশ এখন শুধু ভুটানের বন্ধুই নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার ও। এছাড়াও এখন বাংলাদেশ এবং ভুটানের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের একটি বড় উৎস বটে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি এসব কথা জানান।
এর পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আমদানি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইতিমধ্যে। এছাড়াও বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সাথে ওয়েবিনারে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানানো হয়।
এর পাশাপাশি ভুটানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির ব্যাপারে মন্ত্রী সম্ভাব্য সবধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার ইতিমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ সময় সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি আরো আলোচনা করে। এছাড়াও বিশেষ করে ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে কারিগরি ও বাণিজ্যিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা কে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক কথা বিশেষ ভাবে তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের সহযোগিতা কোথাও তিনি উল্লেখ করেন।
আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকা উল্লেখ করেন এবং এর পাশাপাশি ভুটানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন যে, বাংলাদেশ ও ভুটানের ভূ-প্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জীবন ধারা প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে। যার ফলে তিনি দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে আরো বলেন যে, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম স্থানে।
এছাড়াও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও দেশের প্রতিটি গ্রামে সংযোগ পৌঁছে দিতে বিশেষভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ বাংলাদেশ এখন রপ্তানি করছে। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে কথা বিশেষ ভাবে তুলে ধরেন।
এছাড়াও আমাদের আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় উপনীত করতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরো বলেন যে, বাংলাদেশের অব্যহত অগ্রগতি বিশেষ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির বিশেষ ভাবে প্রশংসা করেন।
বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিতে যে যে দেশগুলো এগিয়েছে বাংলাদেশ তার ভিতরে অন্যতম। বাংলাদেশের লোকজন তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অনেকটাই উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। তারা এখন নানা রকমের কাজ করছে বাসায় বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
আরো পড়ুন… ৫ জি এখন চালু হলো এর স্পিড ১.৫ গিগাবাইট
এছাড়াও ল্যান্সিং করে তারা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের নিয়ে আসছে। যা একটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির শিখরে। এখন উন্নয়নশীল দেশের মানুষও জানে বাংলাদেশের নাম।
বাংলাদেশ টেকনোলজি দিক থেকেও অনেকটা এগিয়ে গেছে। আর এই ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে অনেক বড় সাফল্য বয়ে আনবে আগামী দিনগুলোতে। ইউটিউব ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে নানা রকম পেশায় এখন বাংলাদেশি তরুণরা।