VPN অর্থাৎ (virtual private network) এটি ভিপিএন শব্দটির পূর্ণরূপ আশা করি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই পোষ্টটি শুধুমাত্র নতুনদের জন্য যারা ভিপিএন এর সাথে পরিচিত না অথবা ভিপিএন নামক এই শব্দটি শুনেছেন কখনো ব্যবহার করেননি বা বিস্তারিত কোনো তথ্য জানেন না শুধুমাত্র তাদের জন্য।
এছাড়া যারা অলরেডি এক্সপার্ট লেভেলের আছেন এবং ভিপিএন ব্যবহার করেছেন ও ভিপিএন সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে তারা এ বিষয়গুলো আগে থেকেই ভালোভাবে জানেন। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেকেই ভিপিএন নামক শব্দটি শুনেছেন কিন্তু এর কাজ কি এবং এটি কেন ব্যবহার করা হয় তা নিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে।
শুরুতেই উল্লেখ করেছি ভিপিএন শব্দটির পূর্ণরূপ (virtual private network) হ্যাঁ শব্দটি শুনে আপনাদের অনেকটাই ধারণা হয়েছে এটির কাজ সম্পর্কে তবুও যারা এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না তাদের জন্য স্পষ্ট ভাবে বলছি।
ভিপিএন নামক প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপস রয়েছে যদিও ভিপিএন এর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভিপিএন ফ্রিতে প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করা যায় এবং কিছু ভিপিএন পেইড ভার্সন অর্থাৎ টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
ভিপিএন মূলত বিভিন্ন ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ কোন একটি ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট কিছু দেশের প্রবেশ এর অনুমতি রয়েছে এবং বাংলাদেশ বা আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের আইপি ব্লক করা বা ওই দেশের আইপি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে ঢোকার অনুমতি নেই।
এমন অবস্থায় আপনি ভিপিএন এর সাহায্যে অন্য একটি দেশের লোকেশন সিলেক্ট করে ওই ওয়েবসাইটে অনায়াসে ঢুকতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি আমেরিকা অথবা কানাডার লোকেশন সিলেক্ট করে রেখেছেন এখন বাংলাদেশ ওয়েবসাইট থেকে ব্লক করা কিন্তু তবুও আপনি ভিপিএন এর সাহায্যে ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
এটাতো ছিল শুধু ভিপিএন ব্যবহার করার বেসিক একটা কারণ এছাড়া বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে ভিপিএন ব্যবহার করে। উদাহরণ স্বরূপ অনলাইনে প্রতিনিয়ত আমরা যে ওয়েবসাইট অ্যাপস ব্যবহার করি এদের মধ্যে বেশিরভাগ ওয়েবসাইট আমাদের ট্রাক করে এবং বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংরক্ষণ করে।
আরো পড়ুন... এবার বিকাশ যুক্ত করা হলো সোনালী ব্যাংক এর সাথে
এগুলো থেকে নিজেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভিপিএন ব্যবহার করে ফলে এক জায়গা থেকে অন্য এক জায়গার লোকেশন দেখানোর চেষ্টা করে ফলে সিকিউরিটি ব্যবস্থা অনেকটাই ভালো থাকে।
তবে এটা নির্ভর করে ব্যবহারকারীর পছন্দের উপরে যে নিজেকে তিনি আড়ালে রাখতে চায় কিনা। প্রত্যেকটি ভিপিএন অ্যাপ সে মূলত বিভিন্ন রকমের আইপি বা আলাদা আলাদা দেশের ঠিকানা থাকে। যেগুলো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটকে প্রদর্শন করে কিছুটা ছদ্মবেশে ব্রাউজ করতে পারে।
আলাদা আলাদা অ্যাপসে আলাদা আলাদা আইপি অ্যাড্রেস থাকে। তাই ব্যবহারকারী কোন অ্যাপসটি ব্যবহার করবে তা সম্পূর্ণই তার উপরে নির্ভর করে।
একেক ধরনের ভিপিএন অ্যাপস একেক রকমের সার্ভিস প্রদান করে এক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দের ভিপিএন অ্যাপস বেছে নেয়।
এছাড়া তেমন কোন বিশেষত্ব নেই ভিপিএন অ্যাপস এটা শুধুমাত্র নতুন দের জন্য ছিল বিশেষ করে যারা ভিপিএন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না বা ভিপিএন সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই।