প্রথমবারের মতো আকাশ পথে পণ্য পরিবহন সেবা চালু ই-কুরিয়ারের

দেশে এই প্রথমবারের মতো আকাশ পথে পণ্য পরিবহনের সেবা চালু করেছে ট্র্যাকিংভিত্তিক কুরিয়ার কম্পানি ই-কুরিয়ার। আর এই সেবা চালুর মাধ্যমে যেকোনো পণ্য দেশের অভ্যন্তরে অল্প সময়ের মধ্যে পরিবহন করা সম্ভব হবে। এতে আমাদের খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা। 

সোমবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এই কোম্পানির লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়।এছাড়াও এই কোম্পানিটি কর্পোরেট ডেলিভারি মার্চেন্ট ডেলিভারি এবং ক্যাশ অন ডেলিভারি সেবা দিয়ে থাকে।

প্রথমবারের মতো আকাশ পথে পণ্য পরিবহন সেবা চালু ই-কুরিয়ারের

প্রথমে বাংলাদেশ ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ই-কুরিয়ার। আর এটি ঢাকার মধ্যে নথি পরিবহনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। এরপরে থেকেই  ই-কমার্স, এফ-কমার্স পণ্য ডেলিভারি এবং করপোরেট ডেলিভারির কাজ শুরু করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এতে যেমন মানুষের দুর্ভোগ কমেছে তেমনি আবার স্বল্প সময়ের ভিতর বাসায় বসে পণ্যের ডেলিভারি পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ই-কমার্স কুরিয়ার এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই সেবা চালু হলে মানুষের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে।

ই-কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ বলেন আমাদেরকে বলেন যে, ‘বাংলাদেশের কুরিয়ার সেবা ব্যবস্থায় গ্রাহককে পণ্য পৌঁছাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়এবং সেটা একটা দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল মানুষকে খুব তাড়াতাড়ি সেবা পৌঁছে দেয়ার।


আর আমরা আমাদের এই কাজটাকে যতটা সম্ভব সহজ, দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে চ্যালেঞ্জিং ভাবে করতে চাই। আমরা আমাদের এই এয়ার সেবার মাধ্যমে যেকোনো পার্সেল  দিনে দিনেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারব। আর এমনটাই আমরা আশা করছি।’

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, আপাতত ঢাকা থেকে বিমানবন্দর আছে এমন সব জেলা শহরে পণ্য আনা-নেওয়া করা যেতে পারে। আর আমরা চাচ্ছি যে সামনের মাস থেকেই আন্তজেলা এয়ার পার্সেল সেবা শুরু হবে।

লোগো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন এবং প্রথম আলোর যুব কার্যক্রম ও ইভেন্ট অ্যাকটিভেশনের প্রধান মুনির হাসান সহ বিশেষ আরো অতিথিগণ।


এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুনির হাসান আমাদেরকে বলেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে অনেকগুলো ওয়ান বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে আমাদেরকে। এছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের জন্য ই-কুরিয়ারের মতো আরও অনেক কুরিয়ার কোম্পানির প্রয়োজন হবে হবে বলে আমরা মনে করি।

ই-ক্যাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন আমাদেরকে বলেন যে, ‘আমরা যদি স্থানীয়ভাবে পণ্য সরবরাহের সমস্যা সমাধান করতে পারি, তাহলে কেবল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পণ্য পৌঁছাতে পারব বলে আমরা আশা করি।

ই-কুরিয়ার আগামী মাসের মধ্যে তেজগাঁওয়ে তাদের ২৬ হাজার বর্গফুটের পণ্য সংরক্ষণাগার চালু করবে বলে তারা আশাবাদী। সেখানে আমাদের প্রতি ঘণ্টায় ১০ হাজার পার্সেল ব্যবস্থাপনা করার আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে অবশ্যই।

আরো পড়ুন... ই-কমার্স সাইট তৈরী করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান অপূর্ব দাস

আর আমাদের দেশের সব জেলায় কোম্পানিটির মার্চেন্ট ডেলিভারি সার্ভিস চালু হয়েছে ইতিমধ্য। যার মাধ্যমে যেকোনো জেলা থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তে পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে খুব সহজেই। ই-কমার্স সাইটের উন্নতির মাধ্যমে উন্নতি ঘটবে ডিজিটাল বাংলাদেশের।

তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে ধীরে ধীরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে উন্নয়নশীল জীবন-যাত্রার দিকে। তাহলে আমরা আমাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে পারব।ডিজিটাল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে এগোতে হবে উন্নত মাত্রার জীবনযাত্রার দিকে।

না হলে আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে পিছিয়ে পড়বো।কুরিয়ারে বেশিরভাগ সময়ই আমরা খুব দ্রুত সার্ভিস পাইনা।আমরা এ কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে 24 ঘণ্টা সময়ের ভিতর পণ্য ডেলিভারি সেবা পায় তবে সেটা আমাদের জন্য যথেষ্ট সাফল্যের বটে।


এরকম সেবা চালু হলে আমরা দীর্ঘসময়ের বিরম্বনার হাত থেকে বাঁচতে পারব। সহজে কোন পণ্য স্বল্প সময়ের ভিতরে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব প্রিয়জনের কাছে।

Previous Post Next Post