৩৬ তলা উচ্চতা সমান এবং চল্লিশটি কেবিন যুক্ত মহাকাশ যানে ভ্রমণের ইচ্ছা এলন মাস্কের

বর্তমানে টেসলা কর্ণধার এলন মাস্ক এখন তার সম্পদের নিরিখে মাইক্রোসফট সংস্থার কর্ণধার বিল গেটসকে টপকে সম্প্রতি ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স’ এর বিচারে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দু’নম্বরে স্থান করে নিয়েছেন নিজেকে।

৩৬ তলা উচ্চতা সমান এবং চল্লিশটি কেবিন যুক্ত মহাকাশ যানে ভ্রমণের ইচ্ছা এলন মাস্কের

এখন তিনি টেসলা ছাড়াও একাধিক সংস্থার মালিক হয়ে গেছেন। ‘স্পেসএক্স’ হলো তার তৃতীয় একটি কোম্পানি যা ২০০২ সালে এই কোম্পানি গড়ে তোলেন নিস পরিশ্রমে। এছাড়াও তার ৬ বছরের মধ্যেই নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে তিনি সক্ষম হন।

বর্তমানে সাধারণ মানুষকে ও মহাকাশ ভ্রমণের  সুযোগও এনে দিয়েছে স্পেসএক্স। এছাড়াও বছরই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে এই মিশন চালু করার কথা ঘোষণা করেছিল এই কোম্পানিটি। এখন প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইনস্পিরেশন ৪’ যা চলতি বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে চালু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।


এছাড়াও বর্তমানে মহাকাশে যারা ভ্রমণ করতে চান, স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল এ করে তেমন ৪ জন নভোচারীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও স্পেসএক্স জানিয়েছে যে, প্রথম কারা এই মিশনে যাবেন, আর আগামী সপ্তাহ মাগাধ তাদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। 

এই মিশনে অংশগ্রণকারী ব্যক্তিদের নির্বাচিত করার পর তাদেরকে বিশেষ ভাবে ট্রেনিং দেয়া হবে। এছাড়াও আগামী ১৫ মাসে মোট ৭ বার এ ভাবেই ওই সংস্থা মহাকাশে ভ্রমণ করিয়ে আনবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। 

আর এর বাইরে এলন এমন একটি যান তৈরির চেষ্টায় করে যাচ্ছেন যাতে করে তারা মতে মহাকাশ অভিযানের ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠবে এমনটাই তারা আশা করেন।


এছাড়াও এর নাম রাখা হয়েছে স্টারশিপ। কারণ এটি প্রতি বার মাত্র ৪-৫ জন করে মহাকাশ অভিযাত্রীকে না নিয়ে একসাথে অন্তত ১০০ জনকে  নিয়ে পাড়ি দিতে পারবে মহাকাশযান জানটি। অনেকটাই যাত্রীবাহী বিমানের মত। তাই এই ১০০ জনকেই নিজেই উড়ে যাবে মঙ্গলগ্রহে উদ্দেশ্যে। 

এর থেকেও আশ্চর্য এবং অবিশ্বাস্য বিষয় হলো যে এই গানটি পুনরায় আবার ব্যবহারের যোগ্য। এছাড়াও লালগ্রহ থেকে ফিরে এসে ফের ১০০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিতে পারবে লালগ্রহে গ্রহের উদ্দেশ্যে এই জান্টি।

এছাড়াও এই স্টারশিপ মানুষকে বহুবিধ গ্রহের বাসিন্দা করে তুলবে পারবে বলে আশাবাদী এলন। যার ফলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, পৃথিবী ধ্বংসের পরও অন্য গ্রহে মানুষের অস্তিত্ব রয়ে যাবে। এছাড়াও ২০১৬ সালে মেক্সিকোর একটি সম্মেলনে তার এমন পরিকল্পনার কথা প্রথম জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও মঙ্গলে শহর গড়ে তোলা এলনের বহু দিনের স্বপ্ন বটে।

আরো পড়ুন... প্রথমবারের মতো আকাশ পথে পণ্য পরিবহন সেবা চালু ই-কুরিয়ারের

বর্তমানে এই এলনের  স্বপ্নের মহাকাশযান স্টারশিপের দুটো অংশ রয়েছে। আর এর ভিতরে রকেট অংশটি হল সুপার হেভি এবং মূলত স্পেসক্র্যাফ্ট অংশটির নামই স্টারশিপ বলে জানান সংস্থাটি। আর দুটো মিলিয়ে দৈর্ঘ্য ৩৯৪ ফুট। 

অর্থাৎ ৩৬-৩৭ যা কিনা একটি তলা বাড়ির সমান। শুধু তাই নয় বড় শুধু স্টারশিপ দৈর্ঘ্যে ১৬০ ফুট। আরেকটি বিশেষ ব্যাপার হল এই যে,এর মাঝামাঝি অংশে জ্বালানি ট্যাংক রয়েছে। 

এছাড়াও তাতে তরল মিথেন এবং তরল অক্সিজেন থাকবে। আর দুটোকে একসঙ্গে বলা হয় মিথাক্সল। আর এটি হল এর মিথেন অর্থাৎ মূল জ্বালানি। যা কিনা যানটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে মহাকাশের দিকে। এছাড়াও মিথেনকে জ্বলতে সাহায্য করবে তরল অক্সিজেন গুলো।


দিনে দিনে নিত্য নতুন আবিষ্কার আমাদেরকে নিত্য নতুন জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে। আর সেখান থেকেই আমরা নিত্য নতুন জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছি। এভাবেই আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে পারবো সমৃদ্ধির দিকে। জানতে পারব অনেক অজানা তথ্য কে এবং সম্ভব করতে পারব অনেক অসম্ভব কে।

Previous Post Next Post