সুপার ব্যাটারি তৈরি করা হবে এখন কাঁঠাল থেকে

স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যাটারি প্রতিনিয়ত গবেষকরা উন্নত করার প্রচেষ্টায় নিরলস ভাবে কাজ করছে। বিদ্যুৎ চালিত গাড়িতে অসাধারণ গতি থাকায় গবেষকরা নতুন নতুন প্রযুক্তি দ্বাড়া প্রতিনিয়ত কিভাবে ব্যাটারি আরো উন্নত এবং শক্তিশালী করা যায় সে লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সুপার ব্যাটারি তৈরি করা হবে এখন কাঁঠাল থেকে

ব্যাটারির শক্তি বাড়ানোর জন্য এবং খুব দ্রুত ব্যাটারীতে চার্জ করানো এবং বেশি সময় ধরে রাখার প্রচেষ্টায় গবেষকরা নতুন নতুন পদ্ধতি খুঁজে বের করছে প্রতিনিয়ত।

এতে সময় এবং খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। কারণ বর্তমানে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরীর উপাদান গুলো খনি থেকে সংগ্রহ করতে হয় এবং প্রতিশোধন করতে হয় যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

তাই এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন রকমের উপায় খুঁজে চলেছেন গবেষকরা। কিন্তু লিথিয়াম আয়ন এর চেয়ে ভাল মানের ব্যাটারি এখন পর্যন্ত সফল ভাবে তৈরি করতে পারেনি কেউ।

আরো পড়ুন… এখন থেকে বাংলায় কথা বলবে রোবট

তবে নতুন নতুন প্রযুক্তির বিকাশের ফলে এর বিকল্প হিসেবে তাদের বৃহত্তম একটি উৎস কাঁঠাল নতুন আশা জাগিয়েছে। তবে এরই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে থাইল্যান্ডের ডুরিয়ান ফল যা কাঁঠালের অন্তর্ভুক্ত জাত।

রাসায়নিক প্রকৌশলী ভিনসেন্স গোমেজ ও সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এর তার একটি দল মিলে অবশিষ্ট এবং ফেলে দেওয়া খাবার কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে।

তারা বিশ্বের অন্যতম ফল কাঁঠাল এবং ডোরিয়ান দিয়ে তৈরি করেছে এক ধরনের ক্যাপাসিটর যা স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ সহ যে ট্যাবলেটে চার্জ করতে পারবে মাত্র কয়েক মিনিটের ভিতরেই।

তড়িৎ শক্তি ধরে রাখার অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে সুপার ক্যাপাসিটর এটি সাধারণত রিজার্ভার হিসেবে কাজ করে থাকে। দ্রুত চার্জ সময় বাঁচাতে সাহায্য করে বিশেষ করে এই গুণাগুণের কারণে ফ্ল্যাশলাইটে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়।


সাধারণত গ্রাফিন দিয়ে তৈরি করা হয় সুপার ক্যাপাসিটর গুলো, তবে গ্রাফিনের বস্তুগুলো খুবই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। গোমেজ এবং তার দল এই একই বস্তু তৈরি করেছে ডুরিয়ান এবং কাঁঠালের অযোগ্য ও ফেলে দেওয়া খাবারের অংশ দিয়ে। যাতে প্রাকৃতিক শক্তি সঞ্চয় এবং যা অত্যন্ত হালকা থাকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

গবেষকগণ কাঁঠালের স্পঞ্জের নতুন মাঝখানের অংশটি প্রথমে গরম করার পরে প্রচন্ড ঠান্ডার ভিতর এটি ধীরে ধীরে শুকায়। তারপর এটিকে সাধারনত ১৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পোড়ানো হয় ফলে এতে পাওয়া যায় কালো স্পোর বিশিষ্ট এক ধরনের বস্তু।

আর এই বস্তুকেই সুপার ক্যাপাসিটরের তড়িৎদ্বার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গবেষকদের মধ্যে একজন অন্যতম সদস্য বলেন যে, এই সুপার ক্যাপাসিটর মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে চার্জ করাতে পারে যা বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস চালানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা সম্ভব।


যদিও একটি কিছুটা অবিশ্বাস্য তবে এই সুপার ক্যাপাসিটর এর একটি অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। এই ক্যাপাসিটর আরো কিছু কাজে ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা যায় বিশেষ করে নবায়ন শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে।

এছাড়াও সময়ের সাথে সাথে গবেষকরা এটিকে সফলভাবে উন্মুক্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্তমান প্রযুক্তিতে একটি খুবই চমৎকার এবং অবিশ্বাস্য একটি ক্যাপাসিটর বলা যায়।

Previous Post Next Post