সহজ ভাষায় স্বল্প ভাবে বললে ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে তিনি নিরাপদ নয় এবং আমাদের যাবে নিরাপদ থাকা উচিত এ বিষয়ে অবশ্যই আমাদের পাঠকদের বিস্তারিত বলবো। কারন অনেকেই অনলাইন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না বা তাদের অনলাইন প্লাটফর্ম এ ধারনা কম তাদের অবশ্যই এ বিষয়গুলো ভালভাবে জানা উচিত। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সকলেই নিরাপদ ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে এবং ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে পারে।
বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের নাগরিকরা ফেইসবুক চালানোতে বেশী অভ্যস্ত অথবা সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে প্রধানত ফেসবুক ব্যবহার করে বলা চলে। এখানে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বিশেষ করে কোন নাম্বার ইমেইল এড্রেস ডেট অফ বার্থ আপনার বাসার ঠিকানা ইত্যাদি ইত্যাদি দেওয়া থাকে।
আসলে এটা ফেসবুক জোর করে নেয় না ফেসবুক ব্যবহারকারী যারা এই তথ্যগুলো পূরণ করে তারা স্বেচ্ছায় পূরণ করেন। এই তথ্যগুলো পূরণ না করেও অনায়াসেই ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করা যায় কিন্তু ব্যবহারকারীরা তেমন কোন ধারণা নিয়েই এই তথ্যগুলো পূরণ করে।
উদাহরণটা আসলে ফেসবুক দিয়ে দিচ্ছি কারণ শুরুতেই বলেছি বাংলাদেশি বেশিরভাগ মানুষ প্রধানত সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে ফেসবুক ব্যবহার করে তাই উদাহরণটা এইভাবে দিলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে। এগুলো তো খুব সিম্পল তথ্য অথবা অনলাইনে কোন ওয়েবসাইট বা অ্যাপসে এরকম সাধারণ কিছু তথ্য দেয়ার ফলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে।
হ্যাঁ এই সিম্পল তথ্যগুলো দেয়ার কারণে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে সেটা সিম্পল ভাবে উপস্থাপন করার জন্যই আজকের এই পোষ্টটি।
তাহলে কমন তথ্য গুলোর মাধ্যমে উদাহরণ দেয়া শুরু করা যাক। যেমন কোন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে বা কোন ওয়েবসাইটে আপনার ফোন নাম্বার দিলেন, তখন এরকম হতে পারে যে কিছুদিন পরে আপনার ফোনে কিছু অফার রিলেটেড এসএমএস আসা শুরু করতে পারে।
যেমন ডিসকাউন্ট অফার সহ নানা রকম অফার হতে পারে। তবে এরকম নানা রকমের বিরক্তিকর ম্যাসেজ আপনার ফোনে আসতে পারেন এমনকি আপনার ফোনে কল করে পর্যন্ত বিভিন্ন অফার সম্পর্কে বলা হতে পারে।
এছাড়াও রয়েছে আপনার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারটি দিয়ে যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের অ্যাকাউন্ট খোলা থাকে। সেটি বিভিন্ন রকমের হ্যাকাররা ওই ফোন নম্বরটির মাধ্যমে হ্যাক করার চেষ্টা করতে পারে।
আর যদি আপনার অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি ব্যবস্থা দুর্বল হয় তাহলে এক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কথা শোনার পরে হঠাৎ করে আপনার মাইন্ডে এরকম চিন্তা আমি জানিনা যে এত মানুষ থাকতে আমার অ্যাকাউন্ট কেন হ্যাক হবে। অথবা মানুষের একাউন্ট হ্যাক হতে শুনেছেন কিন্তু আপনারটা কখনো হয়নি তাই হয়তো ভাবছেন আপনারটা কখনোই হবে না।
ওইটা কোনটা না হ্যাকাররা অনেক সময় রেনডম ভাবে একাউন্টের এক্সেস নেয়ার চেষ্টা করে। এবারে অ্যাকাউন্টের মালিক কে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা চায় একাউন্ট ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে। তবে এক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যা রয়েছে সেটি হচ্ছে আপনি যদি হ্যাকারকে অর্থ প্রদান করে একাউন্ট ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বলেন তাও অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আপনাকে দেবে এরকম কোন গ্যারান্টি নেই তবে না দেয়ার সম্ভাবনা টাই বেশি।
এছাড়াও ইমেইল এড্রেস এর ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ঠিক যেরকমটা ফোন নাম্বার এর ক্ষেত্রে হয়। ইমেইল অ্যাড্রেস এ বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন অফার রিলেটেড ইমেইল করা হয়। এছাড়াও উপরে ফোন নাম্বার নিয়েছে সমস্যা গুলো উল্লেখ করেছি ঠিক এরকম সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হতে হয় যদি ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাড্রেস কোথাও আপনি হস্তান্তর করেন তাহলে।
এছাড়াও ঠিকানা এবং ডেট অফ বার্থ অথবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড কোন ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে শেয়ার করলে আপনার একাউন্ট সহ অনেক কিছুর এক্সেস সহজে নিতে পারে তৃতীয় ব্যক্তি।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড একজন মানুষের একদমই ব্যক্তিগত। তবে আপনি হয়তো ভাবছেন যে আমি ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করেছি তাহলে এটা অন্য কেউ কি ভাবে পাবে। আসলে অনলাইনে অল্পকিছু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ছাড়া প্রায় সকল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস গুলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করেন।
আরো পড়ুন... ঘুমানোর আগে স্মার্টফোনের ব্যবহার ডেকে আনতে পারে মারাত্মক ক্ষতি
ফলে তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে অনায়াসে অনেক কিছুই করতে পারে আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করে বোঝানো সম্ভব নয়। উদাহরণ স্বরূপ আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্য কেউ যদি পাই তাহলে অনায়াসে সে আপনার অনলাইন ব্যাংক একাউন্টের অ্যাক্সেস নিতে পারবে অথবা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস নিতে অনেকটাই সহজ হবে।
কিছুদিন পর দেখবেন আপনার ব্যাংকে কোন টাকা নেই বা অ্যাকাউন্ট একদম ফাঁকা যেটা আপনি কখনই চাইবেন না। অথবা আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে কোন সাইবার অপরাধ হলো তখন সেটার সম্পূর্ণ দোষ বা দায়ভার আপনার উপরে পড়বে।
তাই অনলাইনে সকল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং একদম প্রয়োজন না হলে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যক্তিগত ভাবে রাখবেন কখনো শেয়ার করবেন না।