সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করা বন্ধ করবেন যেভাবে

বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে জড়িত। বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ঘন্টার পর ঘন্টা এমনকি প্রায় সারা দিন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে সময় কাটায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করা বন্ধ করবেন যেভাবে

বিশেষ করে এটা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় তবে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার এর অসচেতনার হলে মানুষ এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে অনেক বয়স্ক মানুষ এরকম সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ঝুঁকে গেছে।

তবে বেশিরভাগ মানুষই এই সোশ্যাল মিডিয়ার বাজে অভ্যাস থেকে বের হয়ে নিজেদের কাজে সময় দিতে চায়। কিন্তু চাইলেই কি আর পারা যায় একদম কোন বাজে অভ্যাস হয়ে গেলে সেটা ত্যাগ করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অযথা সময় নষ্ট থেকে মুক্তি পেতে এবং নিজের কাজের প্রতি সময় দেওয়ার জন্য অবশ্যই ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার এই বাজে অভ্যাস থেকে একমাত্র তারাই বের হতে পারবেন যারা এটি ব্যবহার করতে চায় না এবং নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় দিতে চায়।


তবে আপনি একবার ভেবে দেখেছেন যে আপনি সারাদিন ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটিয়ে তুমি পাচ্ছেন অথবা আপনার কি উপকার হচ্ছে অথবা আপনি কি শিখতে পারছেন এসব থেকে। আপনার উত্তরে তেমন কোন কারণ দেখাতে পারবেন বলে আমার মনে হয়।

বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহনা।।ে আসক্ত তারা একটি নোটিফিকেশন না লাইক কমেন্ট চেক করার জন্য একবার নিজের পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করে কিন্তু কয়েক ঘণ্টা শেষ হয়ে গেল বের হতে পারে না।

প্রথমত আপনাকে আপনার একাউন্ট এ স্মারঅভ্যাস। বা ল্যাপটপ থেকে লগআউট করতে হবে আমি অ্যাপসগুলো আমি ইনস্টল করতে হবে অন্যথায় আপনি এই অভ্যাস।


আপনার কিছুক্ষণ পরেই মনে হতে পারে যে আপনার ফটোতে কতজন লাইক করলো কে কি কমেন্ট করলো এগুলো চেক করা দরকার কিন্তু এগুলো চেক করতে করতে গিয়ে আপনি অন্য কোন পোস্ট বা মেসেজিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলেন কিন্তু আপনি এটা খেয়ালই নেই যে আপনি সময় নষ্ট করছেন।

অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার অবশ্যই কমানো দরকার তবে অনেকেই মনে করেন যে কোন ব্যবহার করলে হয়তো এর অতিরিক্ত ব্যবহার করার অভ্যাস বদলে যাবে। কিন্তু আসলে এরকম না কারণ আপনি প্রথম অবস্থায় চাইলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন না।

এজন্য প্রথমত কিছুদিন কিছু সপ্তাহ অথবা মাসের জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট গুলো ব্যবহার একেবারেই বাদ দিতে হবে। পরে যদি আপনি দেনে আধা ঘন্টা বা 1 ঘন্টা ব্যবহার করেন সেটা লিমিটের ভিতরে থাকেন।

আরো পড়ুন... ই-কমার্স সাইট তৈরী করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান অপূর্ব দাস

অথবা আপনি যতক্ষন অবশ্যই থাকে ততক্ষণ ব্যবহার করতে পারেন তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে অনেক ক্ষতি রয়েছে শারীরিক-মানসিক সহ নানা রকম সমস্যা যা অন্য কোন পোস্ট এর বিস্তারিত আলোচনা করব।

বিশেষ করে আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হন তাহলে অবশ্যই আপনার মানসিক অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যাবে যে আপনি পড়াশোনায় মন মানসিকতা অনেকটাই হারিয়ে যাবে। আর এটা আপনার ভবিষ্যৎ এর উপরে কি রকম প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে আপনি ধারণা করতে পারছেন।

তাই অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কমানোর জন্য সর্বপ্রথম যেটা দরকার সেটা হচ্ছে আপনার নিজের ইচ্ছা আপনাকে অবশ্যই দৃঢ় মনোবল নিয়ে চেষ্টা করতে হবে যেগুলো আপনি বাদ দিতে চান এবং এগুলোর ব্যবহার সীমিত সময়ের জন্য করতে চান।

তাহলে খুব সহজেই আপনি অতিরিক্ত স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে বাজে অভ্যাস ত্যাগ করতে পারবেন এবং আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সময় মত সম্পন্ন করতে পারবেন।

Previous Post Next Post