ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহারের পূর্বে আপনার যে তথ্যগুলো জানা উচিত

বর্তমানে অনেকেই ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহার করে তবে এই অ্যাপটি ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই এর নীতিমালা এবং কাজ করার প্রসেস গুলো সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। এই অ্যাপসটি ফোনের ব্যবহার করার সুবিধা হচ্ছে ব্যবহারকারী সহজেই ফোনে কোন কল এবং এসএমএস আসলে এসএমএস এবং কল দাতার নাম ফোনের স্ক্রিনে দেখতে পারে।

ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহারের পূর্বে আপনার যে তথ্যগুলো জানা উচিত

অর্থাৎ ব্যবহারকারীর ফোনে যদি কোন ফোন নাম্বার সেভ করা না থাকে স্পষ্টভাবে বললে অপরিচিত কোন নাম্বার থেকে যদি কল বা এসএমএস আসে তখন এই অ্যাপটির সাহায্যে ওই ব্যক্তির নাম জানা যেতে পারে।

এই সুবিধাটি ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহার কারী প্রায় সকলের কাছেই ভালো লাগে কারণ অপরিচিত নাম্বার থেকে কল বা এসএমএস আসলে তার পরিচয় সহজেই জানতে পারা যায়। তবে এই প্রসেস টি কিভাবে কাজ করে এবং এই অ্যাপটির কি কি নীতিমালা রয়েছে তা ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত।

তবে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে একটু কলারের এই সুবিধাটি ম্যাজিকের মতো মনে হয় যে কিভাবে এটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আশা ব্যক্তির নাম জানিয়ে দিতে পারে। তবে অবাক হবার কিছুই নেই এই প্রসেস টি খুব সিম্পল এর ভিতরে আমি আপনাকে বলব।


আসলে ট্রু কলার অ্যাপ টি যখন আমরা ফোনে ইন্সটল করি তখন আমাদের কাছে কয়েকটি পারমিশন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম পারমিশন ঠিক হচ্ছে আপনার ফোনের কন্টাক্ট অ্যাক্সেস করার পারমিশন। এর ফলে আপনার ফোনবুকে থাকা সকল ধরনের কন্টাক নাম্বার এর অ্যাক্সেস করতে পারবে এই অ্যাপসটি।

এই পারমিশন নেওয়ার ফলে ট্রুকলার আপনার ফোনবুকে থাকা ফোন নাম্বার গুলো এবং নাম অতি সহজেই জেনে যায় এবং এই ডাটাগুলোকে তাদের সার্ভার ইন্সটল করে রাখে। এক্ষেত্রে একই নাম্বার যদি কয়েকজন ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহারকারীর কাছে ভিন্ন ভিন্ন নামে সেভ করা থাকে তাহলে ট্রুকলার এটি analyse করে যে এই নাম্বারের আসল মালিকের নাম কি হতে পারে এবং সবথেকে বেশি কোন নামে এই নাম্বারটি সেভ করা রয়েছে কিছুটা এই প্রসেসে তারা ব্যক্তির সঠিক নাম নির্ধারণ করে।

এরপরে যদি ট্রু কলারে ষ্টোর থাকা কোন নাম্বার থেকে ট্রুকলার এ ব্যবহারকারীর ফোনে কোন কল বা এসএমএস আসে তাহলে সহজেই ওই ব্যক্তির নাম অ্যাপসটি উপস্থাপন করতে পারে। 

আরো পড়ুন… নতুন নিয়ম না মানলে যে ব্যবস্থা নিবে হোয়াটসঅ্যাপ

তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যে আপনি আপনার ফোনবুকে থাকা সত্য বা ফোন নাম্বার গুলো ট্রুকলার এর সাথে শেয়ার করবেন কিনা। যদি শেয়ার করতে চান তাহলে পারমিশন দিয়ে ট্রু কলার অ্যাপস টি ব্যবহার করতে পারেন।

যদি আপনার ফোনবুকের এবং আপনার ফোনের সকল তথ্য আপনার একান্তই ব্যক্তিগত। তবে আপনি যদি তাদের সাথে আপনার তথ্য শেয়ার করতে না চান তাহলে ট্রুকলার অ্যাপস টি ব্যবহার করবেন না। আর ট্রু কলার অ্যাপস টি আপনি ব্যবহার করলে তাদের এই পারমিশন গুলো দিতে হবে।

তারা আপনার কি ধরনের তথ্য দেখবে এবং সংরক্ষণ করবে তা জানার জন্য তাদের নিয়ম নীতি অনুসরণ করুন। আপনার ফোনবুকে থাকা তথ্য তারা সংগ্রহ করবে তা ট্রু কলার অ্যাপ ইন নিয়মনীতিতে উল্লেখ করে রেখেছে কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে আমরা বাঙালিরা এসব দিকে মনোযোগ দেই না এবং এই নিয়ম নীতি গুলো অনুসরণ করি না এমনকি ব্যবহারের আগে একবার পড়ে জেনেও নি না।


শুধু ট্রুকলার নয় যেকোনো অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই নিয়ম-নীতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এক্ষেত্রে আপনি ভুলবশত কোন তথ্য শেয়ার বা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না।

ট্রুকলার এর প্রসেসর কিভাবে কাজ করে সেটা সংক্ষিপ্তভাবে আপনাদের মাঝে আমি তুলে ধরলাম এখন সিদ্ধান্ত আপনার যে আপনাকে টি ব্যবহার করবেন কিনা।

Previous Post Next Post