দিনে দিনে নানা রকম তথ্যসংগ্রহ করার জন্য নানা রকম জিনিস বা ইলেকট্রনিক পণ্য উদ্ভাবন করা হয়েছে। আর এ গুলো কে এমন এমন জায়গায় পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয় যেখানে সাধারণত মানুষ সহজে পৌঁছতে পারেনা।
তারই ধারাবাহিকতায় 23 ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি সিএনএস জানিয়েছে যে,মঙ্গল গ্রহের সাফল্যের সাথে অবতরণ করে সেখানকার ছবি এবং ভিডিও পৃথিবীকে পাঠাতে শুরু করেছে পারসিভেরেন্স।
মঙ্গল গ্রহ থেকে নতুন ভিডিও লাল রংয়ের গ্রহের দৃশ্য এবং শব্দ সম্পর্কে আরো স্পষ্টভাবে ধারণা পাওয়া যায়।তবে মঙ্গলপৃষ্ঠে অবতরণের শেষ সাত মিনিট কে শ্বাসরুদ্ধকর সাত মিনিট বলে উল্লেখ করেছে নাসা।
এছাড়াও পারসিভেরেন্সের গায়ে লাগানো ক্যামেরাগুলোতে প্রথমবারের মতো মহাকাশযানের মঙ্গল গ্রহে অবতরণের দৃশ্য ধারণ সক্ষম হয়েছে।
আর রোভারটি মার্শিয়ান বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের ২৩০ সেকেন্ড পরে ভিডিও করা শুরু হয়। এছাড়াও এটি রোভার থেকে একটি প্যারাসুট মার্শিয়ান পৃষ্ঠের সাত মাইল ওপর থেকে নিচে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন… ৮ জনকে বিনামূল্যে চাঁদে নিতে চান একজন কোটিপতি
এছাড়াও নাসার প্রকাশকরা ভিডিওতে লালগ্রহের মাটির ছবি দেখা গিয়েছে। আর মঙ্গল গ্রহের পিষ্টে যে গত রয়েছে সেটিও ভিডিওতে স্পষ্ট ভাবে ধরা পড়েছে। এছাড়াও যখন মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করার সময় ধরেছিল তাও ভিডিওতে ভালোভাবে দেখা গেছে। এছাড়াও মাইক্রোফোনে বাতাসের শব্দ শোনা গেছে।
এছাড়াও নানা রকমের তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও নাসার বিজ্ঞানীরা আরো জানায় যে মাইক্রোফোনের থেকে ব্যবহারযোগ্য তেমন কোনো ডাটা ধারণ করা হয়নি। রবারের টুইটার অ্যাকাউন্টে অডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। টুইটারে বলা হয়েছিল আপনারা আগে মঙ্গল দেখেছেন এখন মঙ্গ শুনুন।
আধুনিক বিজ্ঞানের প্রসার এখন এতটাই বিরাজমান যে চাঁদ বা মঙ্গলে যেতে এখন আর অতটাও ভাবতে হয় না। কোন এক সময় মঙ্গল গ্রহে যাওয়াটাও ছিল স্বপ্নের মতো অবাস্তব একটি বিষয়। বিজ্ঞানের রিচার্জ এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনী তে এখন অনেক কিছুই সম্ভব হয়ে গেছে।
নানারকম আবিষ্কার আর প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এখন আমরা মঙ্গল গ্রহের নিউ রিচার্জ করতে পারি অনেকটা সহজেই। এটা ব্যয়বহুল হলেও অসম্ভব নয়।আমাদের মানব জীবনের উন্নতি ঘটানোর জন্য বিজ্ঞানীরা নানা সময় নানান বিষয় নিয়ে রিসার্চ করে থাকেন।
আর এই রিসার্চ-এর ফলে আমরা জানতে পারি অনেক অজানা বিস্ময়কর তথ্য। এছাড়াও নতুন নতুন আবিষ্কার আমাদের জীবনযাত্রার মানকে উন্নত এবং সহজ।যার ফলে আমরা আমাদের মানব জীবনের উন্নতি সাধন করতে পারি।
বিজ্ঞানের রিসার্চ যত বাড়বে এবং যত নতুন নতুন আবিষ্কার হবে মানুষের জীবন ততটাই উন্নয়নমুখী হবে। উন্নত জীবন যাপনের জন্য গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।মঙ্গল গ্রহ নিয়ে আগেও অনেক রিসার্চ করা হয়েছে এবং সেখানে অনেক যান পাঠানো হয়েছিল।
তবে সব থেকে বড় কথা এই যে আমরা যতবারই রিচার্জ করেছি ততোবারই নিত্য নতুন তথ্য পেয়েছি। নতুন নতুন গবেষণায় উঠে আসে নতুন নতুন তথ্য।এভাবেই আমরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই উন্নতির দিকে। উন্নততর জীবন যাত্রার জন্য নতুন নতুন আবিষ্কার এর সুফল বয়ে আসুক প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন প্রত্যাশা সকলের।