এখন নিয়মিত গবেষণা করে একের পর এক উন্নত প্রযুক্তির ফিচারের পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর এরই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ডের নতুন মডেলের স্পিøট এর এয়ারকন্ডিশন বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন।
ইনভার্না সিরিজের নতুন মডেলের এই এসিতে ব্যবহৃত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তি যা আমাদের বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমিয়ে দিবে। এছাড়াও এতে রয়েছে আয়োনাইজার, এন্টিভাইরাল ও ডাস্ট ফিল্টার এবং ফ্রস্ট ক্লিনসহ অত্যাধুনিক সব আধুনিক সুযোগ সুবিধা। সবচেয়ে খুশির বিষয় হলো এই যে ওয়ালটনের নতুন ওই এসি ব্যবহারে ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ পড়বে মাত্র ২.৮৮ টাকা।
ওয়ালটন এসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর রহমান জানান, এয়ার কন্ডিশনারের দেশীয় ক্রেতাদের প্রধান দুশ্চিন্তা থাকে বিদ্যুৎ খরচ এবং এটার দীর্ঘস্থায়িত্ব নিয়ে। আবার অন্যদিকে ইউরোপের ক্রেতাদের প্রধান চাহিদা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পণ্যের দিকে।
তাই আমরা এই এয়ারকন্ডিশনটিতে দুইটি বিষয় খেয়াল রেখে তৈরি করেছি। যাতে এটা সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব হয়। আর এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রোডাক্ট এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ইনভার্না’। তবে এটি একটি ইতালীয় শব্দ। এর অর্থ হল ‘উইন্টার’ বা ‘শীতকাল’। এটিকে বিশেষ করে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।
তবে এটিকে বিশেষ করে ইউরোপ মার্কেটের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। ওয়ালটনের প্যাটেন্টকৃত ইউরোপে রপ্তানিযোগ্য এ মডেলটি বাংলাদেশী ক্রেতাদের জন্য ও বেশ আকর্ষণীয় একটি প্রোডাক্ট। তবে এটি কে বাংলাদেশের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুযায়ী বাজারজাত করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ইনভার্না সিরিজের সুপারসেভার মডেলের এই এসি দেশের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) পরীক্ষা থেকে আমরা জানতে পারি যে ইকো মুডে এক টনের ইনভার্না (সুপারসেভার) এসি ব্যবহারে প্রতি ঘন্টায় আমাদের বিদ্যুৎ বিল আসে মাত্র ২ টাকা ৮৮ পয়সা।
ইনভার্না সিরিজের এই এসিতে ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়েল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি। যাতে সমন্বয় করা হয়েছে আয়োনাইজার এবং এন্টিভাইরাল ফিল্টার ফিচার পদ্ধতি। এছাড়াও জাপান এবং সিঙ্গাপুরের স্বীকৃত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত তিনস্তর বিশিষ্ট এন্টিভাইরাল ফিল্টারে ব্যবহৃত হয়েছে এই সিটিতে।
এছাড়াও বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম উপাদান, যার সমন্বয়ে এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। বিশেষ করে এই ফিল্টারে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্টের স্তর, যা বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে এবং আমাদেরকে নির্মল বাতাস সরবরাহের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করে থাকে।
সবচাইতে খুশির বিষয় হলো এই যে শিগগিরই অফলাইন ভয়েস কমান্ডযুক্ত এসি বাজারে সার্ভে বলে জানিয়েছেন ওয়ালটন। যার জন্য আমরা ইন্টারনেট ছাড়াই ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে এসি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
আমরা এটাকে সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলতে পারি যে একজন গ্রাহক কথা বলে নির্দেশনা দিয়ে এসি চালু এবং বন্ধ করতে পারবেন। শুধু তাই নয় চাইলে তাপমাত্রা কমাতে বা বাড়াতে পারবেন।
আরো পড়ুন... ৪জি নেটওয়ার্ক এর আওতায় আসবে দেশের সকল মোবাইল টাওয়ার
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরই ইউভি (আল্ট্রা-ভায়োলেট) প্রযুক্তির এসি বাজারে আনবে ওয়ালটন। যা আমাদের রুম কে রাখবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। তাই এটি যেমন স্বাস্থ্যকর হবে তেমনি আবার পরিবেশ বান্ধব। এছাড়াও ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন যেসারাদেশের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন।
গুণগত মানের দিক থেকেও অলটনের এই প্রোডাক্টটি খুব ভালো। এছাড়াও ওয়ালটন এই নতুন প্রোডাক্ট ঈদে আরো অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তাই আমরা যারা এসি ব্যবহার করতে পছন্দ করি তাদের জন্য এটা একটা ভালো প্রোডাক্ট। উন্নত মানের এই এসিটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
এছাড়াও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার।
আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৩০০ সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি ওয়ালটন। এদিকে ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ান এরা প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছে।